কাতার ছেড়ে কোথায় গিয়ে উঠলেন হামাস নেতারা?
Loading...
কাতার ছেড়ে কোথায় গিয়ে উঠলেন হামাস নেতারা?
এক যুগ ধরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতারা কাতারে অবস্থান করছেন। দেশটির রাজধানী দোহায় তাদের একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ও রয়েছে। সেখান থেকেই গাজার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিনিয়র নেতারা।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও দেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার বছরব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ ও বন্দিবিনিময় আলোচনায় বড় ভূমিকা রেখে আসছিল কাতার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});তবে গত সপ্তাহে হামাসকে কাতার ছাড়ার নির্দেশ দেয় কাতারি সরকার। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা থেকেও নিজেদের সরিয়ে নেয় ছোট কিন্তু প্রভাবশালী উপসাগরীয় দেশটি।
কাতার সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর একটি প্রশ্ন সবার মনে ঘুরতে থাকে। সেটি হলো: কাতার ছেড়ে কোথায় যাবেন হামাস নেতারা? আমেরিকা ও ইসরায়েলের চোখ রাঙানি সত্ত্বেও কোন দেশ তাদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেবে?
হামাস নেতাদের আশ্রয় দেয়ার সম্ভাব্য দেশের তালিকায় বেশ কয়েকটি আরব ও অনারব দেশের নাম ছিল। তবে অবশেষে হামাস নেতারা তুরস্কে গেছেন বলেই খবর আসছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
২০১২ সাল থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের অফিস রয়েছে। বারাক ওবামা প্রশাসনের অনুরোধেই হামাসের এই কার্যালয় খুলতে দিয়েছিল কাতার।
Loading...
তবে এক যুগ পর সেই আমেরিকার দাবির মুখেই কাতার সরকার হামাসকে তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও হামাসের কর্মকর্তারা এসব খবর অস্বীকার করেছে।
ছোট হলেও প্রভাবশালী উপসাগরীয় এই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। দেশটিতে প্রধান আমেরিকান বিমানঘাঁটি রয়েছে। এ ছাড়া ইরান, তালেবান ও রাশিয়ার সঙ্গে সংবেদনশীল রাজনৈতিক আলোচনা পরিচালনা করেছে দোহা।
Loading...
যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের পাশাপাশি কাতারিরাও গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার এক বছর ধরে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
গত বছরের নভেম্বরে দুপক্ষের মধ্যে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তিও বের করে আনে দেশটি। তবে এরপর বহুবার আলোচনা হলেও আর কোনো চুক্তি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
Loading...
এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় কাতার। দেশটি বলছে, দুপক্ষে আলোচনা নিয়ে সদিচ্ছা ও গুরুত্ব দিলেই তারা আবার পুরোনো ভূমিকাই ফিরবে। তার আগে এই প্রচেষ্টায় কাতারকে আর দেখা যাবে না।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে তুরস্কের উদ্দেশে কাতার ত্যাগ করেছেন হামাসের বিদেশি নেতৃত্বের সিনিয়র সদস্যরা। রোববার (১৭ নভেম্বর) একজন আরব কূটনীতিকের বরাতে এই তথ্য জানায় ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি।
Loading...
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কূটনীতিক জানান, কাতার ছাড়ার আগে থেকেই তুরস্কে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করতেন হামাসের নেতারা। তারা কাতারে আর বৈঠক করছেন না।
তবে হামাস তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় কাতার থেকে তুরস্কে স্থানান্তর করেছে, এমন তথ্য সোমবার (১৮ নভেম্বর) খারিজ করে দেন একটি তুর্কি কূটনৈতিক সূত্র। ওই সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনের সদস্যরা শুধু সময়ে সময়ে তাদের দেশ সফর করেন।
Loading...
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক গাজা উপত্যকা ও লেবাননে হামলার জন্য ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছে। এমনকি দেশটি হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে না। হামাসের অনেক নেতা নিয়মিত তুরস্ক সফর করেন।
কূটনৈতিক সূত্রটি বলেছে, হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরো সদস্যরা সময়ে সময়ে তুরস্ক সফর করেন। হামাস পলিটিক্যাল ব্যুরো তুরস্কে চলে গিয়েছে বলে যেসব প্রতিবেদন করা হচ্ছে সেখানে সত্যতা নেই।
Loading...